বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় পঙ্গুত্বের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী আয়াত উল্লাহ হুইল চেয়ারে করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ দফা বেদির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছান তিনি। এ সময় তার বুকে লাগানো ছিল কালো ব্যাজ। ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় ৬দফা বেদিতে যান আয়াত। এরপর নিজেই হুইল চেয়ার ঠেলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তার পুষ্পস্তবকে লেখা ছিল, ‘জাতীয় শোক দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি’। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে আয়াত বলেন, ‘হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসেই আমার দিন কাটছে। কিন্তু আজ ক্যাম্পাসে না এসে পারলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে প্রতিবছর এই দিনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করতাম। আজ আমাকে একাই আসতে হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুনেছি হামলার ঘটনায় বিবাদমান সব পক্ষের সমঝোতা হয়ে গেছে।কয়েকজন শিক্ষকের পক্ষ থেকে আমাকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে চিকিৎসার খরচ বহনের। কিন্তু আজ আমি হাসপাতাল থেকে আসার জন্য বারবার চেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স পাই নি। জানি না কদিন পর কেউ আমাকে মনেও রাখবে কি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স না দেবার বিষয়ে প্রশ্ন করলে প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীর চিকিৎসার প্রয়োজন হলে আমরা তাকে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিয়ে থাকি। ক্যাম্পাসে আসার জন্য কাউকে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সুযোগ দেবার বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারে নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির দুটি হলে হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্তরা হামলা করে। সে সময় আয়াতের বাম পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরা। পরে সংবাদ সম্মেলন করে দুর্বৃত্তদের পরিচয় প্রকাশ করা হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের এই আহত শিক্ষার্থী।