নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভ্যালে অধিকারকর্মী হো চি মিন ইসলাম বক্তব্য দিতে না পারার ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানান ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। তিনি বলেন, হো চি মিনের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি।
ইউজিসি সূত্র জানায়, ২৬ নভেম্বর ইউজিসি এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেন ইউজিসি পরিচালক মো. ওমর ফারুখ।
এতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধিচর্চার সূতিকাগার। এরূপ চর্চা ও বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরের পরিপূরক। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এরূপ আচরণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০, মুক্তচিন্তার বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশের সংবিধান এবং সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার পরিপন্থী।’
আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্য পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।
এর আগে শুক্রবার আই সোশ্যাল আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সেবিকা ও ট্রান্সজেন্ডার নারী হো চি মিন। তবে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া হয়নি ট্রান্সজেন্ডার হো চি মিন ইসলামের। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ওই অনুষ্ঠানে হো চি মিনের সেশনটি বাতিল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নিজের ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হো চি মিন। আর এর পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় ওঠে।