ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি কোম্পানির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১২৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসে এই দাম ছিল ১১৪০ টাকা।
তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগের ৫৯১ টাকাই রয়েছে। অন্যদিকে গাড়িতে ব্যবহৃত প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৫২ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা ৮৭ পয়সা করা হয়েছে।
আজ রবিবার নতুন দাম ঘোষণার পর সন্ধ্যা থেকে তা কার্যকর হবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান প্রমুখ।
নুরুল আমিন বলেন, বাজার তদারকিতে মাঠে থাকবে কমিশন। অতিরিক্ত দামে এলপিজি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, বেসরকারি খাতের প্রতি কেজি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৭ টাকা ০১ পয়সা। পাশাপাশি সাড়ে ৫ থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বোতলজাত সব এলপিজির দাম একই হারে সমন্বয় করা হয়েছে।
একইভাবে বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের জন্য ভ্যাটসহ প্রতি কেজি রেটিকুলেটেড এলপিজির দামও বাড়ানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে আবাসিকে প্রাকৃতিক গ্যাসলাইনের সংযোগ বন্ধ থাকায় রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বিপুলসংখ্যক মানুষ এলপিজির ওপর নির্ভরশীল।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এই মূল্য বিবেচনায় নিয়ে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। যদিও কমিশন নির্ধারিত দামে বাজারে এলপিজি পাওয়া যায় না। দাম বৃদ্ধি-হ্রাস যাই হোক না কেন বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছেমতো দাম আদায় করেন ক্রেতার কাছ থেকে।