ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ১২টি দেশের দূতাবাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকায় অবস্থিত এসব মিশনপ্রধানকে ডেকে সরকারের অসন্তোষের কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উপস্থিত হন মিশনপ্রধানরা। সেখানে বৈঠক শেষে বিকেল ৪টায় একে একে বেরিয়ে যান তারা।
বৈঠকে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেওয়ায় সরকারের অসন্তোষের কথা জানানো হয়।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়াও কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও হাইকমিশন বিবৃতি দিয়েছিল।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছিল, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত এবং জবাবদিহিতার আহ্বান জানাই। আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া নির্বাচনের পরদিন এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। পরে জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে তলব করে বাংলাদেশ।
এর আগে ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের ভোটগ্রহণের দিন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়। তাকে সড়কে ফেলে মারধর করা হয়।
হিরো আলম অভিযোগ করেন যে, রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তার ওপর যে হামলা হয়েছে, তখন পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারতো। কিন্তু তা করেনি পুলিশ।