১৪ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মচারীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ শতাধিক কর্মচারী অংশ নেয়।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
আন্দোলনরতদের দাবিগুলো হলো- কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালায় ৮৩ ও ৮৪ নং ক্রমিকের শর্ত ও অভিজ্ঞতার ন্যায় ৮৫ নং ক্রমিকের শর্ত ও অভিজ্ঞতা একই করা এবং উচ্চতর বেতন প্রদান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নৈশ ভাতা প্রদান, সকল কর্মচারীদের ওভারটাইম বেসিক হারে প্রদান, দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির টাকা ওভারটাইম হিসেবে প্রদান করা, ভর্তি পরীক্ষার বিভাগীয় শর্ত বাতিল করে শুধু পাশ নম্বর পেলেই পোষ্যদের ভর্তি করা, বাস ড্রাইভারদের ন্যায় বাস কন্ডাক্টরদের ওভারটাইম দেয়া, কর্মচারীদের পুরাতন বাসার ভাড়া কমানো, রাঙ্গামাটি কবরস্থান সংস্কার করা, রাঙ্গামাটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থানান্তর করা, কর্মচারীদের ইভিনিং ও উইকেন্ড সার্টিফিকেট পদন্নোতিতে মূল্যায়ন করা, কলাবাগান জামে মসজিদে ইমাম নিয়োগ, কলাবাগান এলাকায় পানি সংযোগ দেয়া, শহীদ সালাম বরকত হল থেকে কলাবাগান মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া।
অবরোধের বিষয়ে জাবি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বিপ্লব খান টিপু বলেন, ইতোপূর্বে প্রশাসনের কাছে দাবিগুলো জানালে তারা আশ্বাস দিয়েও বাস্তবায়ন করেনি। তাই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা অবরোধে যেতে বাধ্য হয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, এর আগে প্রশাসন আমাদেরকে দাবিগুলো সিন্ডিকেট সভায় মেনে নেওয়া হবে বলে সময় নেয়। অথচ, একটি সিন্ডিকেট সভা হয়ে গেছে কিন্তু প্রশাসন দাবি মেনে নেয়নি। এজন্য, আমরা আজকের এ কর্মসূচি পালন করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।