দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : লাখ লাখ টাকা গেছে রিট দালালদের পকেটে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শাখার কর্মচারীদের কর্মকর্তা ভেবে স্যার স্যার বলে পকেটে টাকার বান্ডিল ঢুকিয়ে মিলেছে শুধু মিথ্যা আশ্বাস। আর ভুয়া ফাইলের ফটোকপি। রুলের বিষয়ে ভুইফোঁড় টেলিভিশন ও পত্রিকায় টাকার বিনিময়ে নিজেদের পছন্দের প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়ে মূলধারার শিক্ষা সাংবাদিকদের কাছে হাসির খোরাক হয়েছেন তারা। রিট দালালরা রুল আর ডিরেকশন বিষয়ে ভুল বুঝিয়েছেন ৩৫ প্লাস বয়সী কয়েকজন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদেরকে।
এসব হবু শিক্ষকরা না বুঝে পেশাদার শিক্ষা সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিবেদনের শিরোনাম নিয়ে অযথা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। ফেসবুকে না বুঝে মন্তব্যও করেছেন। রিটের দালাল ও নামধারী উকিল নিয়ে পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও পাত্তা পায়নি। রিট দালালরা হবু শিক্ষকদের বুঝিয়েছিলেন, রায় পেয়ে গেছেন। কিন্তু সব জারিজুরি পানিতে গেছে। ২২ এপ্রিল সোমবার চেম্বার আদালত স্টে করে দিয়েছেন এ সংক্রান্ত রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে দেয়া হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের রুল ও ডিরেকশন।
নাম না প্রকাশের শর্তে এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা পেশাদার সাংবাদিক কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চেম্বার আদালত স্টে করে দিয়েছে। ৫ম গণ বিজ্ঞপ্তির আবেদন গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে কোনো অপপ্রচার চালিয়ে লাভ হবে না।
ঈদের আগেই তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো ৮ এপ্রিল দেয়া রুলের কপি হাতে পেলে কি করবেন, দৈনিক শিক্ষাডটকমএর এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএ কর্মকর্তা বলেছিলেন, চেম্বার আদালতে যাবেন।
বয়স ছাড়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন ও গণবিজ্ঞপ্তিতে ছাড়ের বিষয়টি তো আপনারা সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন ইতিমধ্যে, যোগ করেন তিনি।
সর্বশেষ অর্থাৎ ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের বাধায় যারা পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না বলে মনে করছেন তারা উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন। আবেদনের সুযোগ চেয়ে রিট পিটিশন করেছিলেন ১৭০ জনের মতো। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন শুরু হয় ১৭ এপ্রিল।
রিটকারীদের একজন মো. ইউসুফ। তিনি ৯ এপ্রিল দুপুরে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেছিলেন, ‘আমাদের আইনজীবী আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, গতকাল শুনানি হয়েছে, আজ রুল জারি হয়েছে। রুলের মূল কপি পাওয়া যায়নি । তাই আইনজীবীর প্রিন্টেড প্যাডে রুল সংক্রান্ত সার্টিফিকেট আমরা পেয়েছি। এতে ৩৫ প্লাস বয়সী ১৭তম নিবন্ধনধারীদেরকে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য যথাযথ বয়স ছাড় না দেয়া কেন অবৈধ হবে না মর্মে কারণ দর্শাতে এনটিআরসিএকে বলা হয়েছে।’
আইনজীবীর সার্টিফিকেটের বরাত দিয়ে ইউসুফ আরো দাবি করেন যে, ‘হাইকোর্ট এনটিআরসিএকে ডিরেকশন দিয়েছে যেন তাদেরকে বয়স ছাড় সংক্রান্ত জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের প্রজ্ঞাপনের আলোকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়।’
উল্লেখ্য, কিছু যৌক্তিক ও অযৌক্তিক কারণে সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া ও গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দেরি করেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কয়েকজন। তারা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে, রিটের দালালদের খপ্পড়ে পড়ে কাড়ি কাড়ি টাকা পানিতে ফেলেছেন। আর কথিত টিভি ও অনলাইন সাংবাদিকরা কিছু ফরমায়েশি রিপোর্ট করে পকেট ভারী করেছে মাত্র।