মফস্বলে নানা সমস্যার মধ্যে মানুষের চিকিৎসা সেবায় কাজ করেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে নারী চিকিৎসকরা যথাযথ সম্মান পান না, কাজের নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ কর্মস্থল, প্রভাবশালীদের চাপসহ ১৮ ধরনের সমস্যা নিয়ে কাজ করেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
গবেষণাটি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের ছয়জন শিক্ষক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা শাখার একজন কর্মকর্তা। এতে দেশের আটটি বিভাগের ৯টি জেলা হাসপাতাল এবং ১৭টি উপজেলা হাসপাতালের ৫১ জন চিকিৎসকের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।
সাক্ষাৎকার নেয়া চিকিৎসকদের গড় বয়স ৩১ বছর। তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, বাকিরা নারী। তাদের মধ্যে পরিবার নিয়ে কর্মস্থলে থাকেন ৩২ জন, বাকি ১৯ জন একা থাকেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ ও এপ্রিল মাসে এসব চিকিৎসকদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
গবেষণায় বলা হয়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে চিকিৎসকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। কর্ম এলাকায় চিকিৎসকদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার ভালো সুযোগ পান না। জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে নোংরা পরিবেশে কাজ করতে হয়। জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে অবকাঠামোগত দুর্বলতা বেশি এবং আবাসন সমস্যাসহ গ্রামাঞ্চলে বা ছোট শহরে কাজের ক্ষেত্রে এমন ১৮ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন চিকিৎসকরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, এসব সমস্যার সমাধান না করলে হাজারো চেষ্টায় সরকার গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসক ধরে রাখতে পারবে না।
গবেষকদের একজন ও বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে বা ছোট শহরে চিকিৎসকরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন, আমরা তা শনাক্ত করতে পেরেছি। কাজের পরিবেশ, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসকদের সার্বিকভালো ভালো থাকার ব্যাপারে নীতি ও কৌশল গ্রহণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।’