দেশের ২ হাজার ২১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতে ৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। মেরামতের জন্য প্রতিটি স্কুলকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ টাকা বরাদ্দ ও ব্যয়ের মঞ্জুরী দিয়েছে। আর মেরামতের টাকা পাওয়া স্কুলগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পিইডিপি-৪ এর আওতায় সাব-কম্পোনেন্ট মেইনটেনেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের ব্যয় নির্বাহে থানা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনুকূলে এ টাকা বরাদ্দ ও ব্যয়ের মঞ্জুরী দেয়া হয়েছে।
অধিদপ্তর বলছে, কোনো অবস্থাতেই বরাদ্দকৃত টাকার অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন বা ব্যয় করা যাবে না। সরকারি বিধি অনুসরণ করে টাকা ব্যয় করতে হবে। খবচের সব ভাউচার সংরক্ষণ করতে হবে।
এদিকে এ টাকা ব্যয় করে স্কুল মেরামতের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, মাইনর মেরামত কার্যক্রম বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে। কাজ শুরুর আগে অবশ্যই উপজেলা প্রকৌশলীর কাছ থেকে মেরামত কাজের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন নিয়ে মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন। বরাদ্দকৃত টাকা প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বিদ্যালয় ভবন, ওয়াশ ব্লক এবং টয়লেটের ক্ষতিগ্রস্ত প্লাস্টার মেরামত, দরজা, জানালা, বেঞ্চ, চেয়ার, কলাপসিবল গেট ইত্যাদি মেরামত, ছাদের সিলিং-আস্তর মেরামত, ভবনের ওয়াল, কলাম, বিম এবং ছাদের ফাটল মেরামত, বিদ্যালর ভবনের দরজা, জানালা রঙ করা, টাইলস , সিঁড়ির রেলিং, বিদ্যালয়ের গেট এবং ড্রেনেজ সিস্টেম মেরামত, ব্ল্যাক বোর্ড প্লাস্টার এবং রঙ করা, টয়লেটের পাইপ, ড্রেন, বেসিন, কমোড, প্যান ইত্যাদি মেরামত বা প্রতিস্থাপন, টিউবওয়েলের প্লাটফর্ম মেরামত এবং টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন, বিদ্যালয় ভবনের বৈদ্যুতিক সুইচ, ওয়্যারিং, ফ্যান ইত্যাদি মেরামত, মাঠে মাটি ভরাট করা, বিদ্যালয় ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোন মেরামত ও চাহিদাভিত্তিক অন্যান্য মেরামত করা যাবে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, মেরামতের জন্য যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে তা মেরামতের আগে ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে হবে এবং মেরামতের পর ছবি তুলে বা ভিডিও করে রাখতে হবে এবং রেজিষ্ট্রি করে সংরক্ষণ করতে হবে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ে কোন কোন খাতে মেরামত প্রয়োজন তার তালিকা প্রস্তুত করে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দেবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাদ্দ প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের মেরামতের তালিকা সংগ্রহ করে একত্রে প্রাক্কলন প্রস্তাব তৈরির জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কাছে পাঠাবেন। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) প্রাক্কলন প্রস্তাব প্রস্তুত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রাক্কলন প্রস্তাব মহানগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটিতে অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে মেরামতের প্রয়োজন না থাকলে অথবা রাজস্বখাত থেকে বর্তমান অর্থবছরে বিদ্যালয়ে মেরামত বাবদ বরাদ্দ পেয়ে থাকলে অথবা এলজিইডি বা মেজর মেরামতের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া চলমান থাকলে বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয় করা যাবে না। এক্ষেত্রে টাকা সমর্পণ করতে হবে। নিরীক্ষার (অডিট) জন্য বিল ভাউচার ও প্রাক্কলনের কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল ভাউচার ও প্রাক্কলনের এক কপি নিজ বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করবেন। ৩০ জুনের মধ্যে টাকা ব্যয় করতে হবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া ২ হাজার ২১০টি স্কুলের তালিকা তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।