আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীতে ছিলেন প্রিন্স হ্যারি। ব্রিটিশ সেনার অংশ হিসেবে তিনি আফগানিস্তান যান এবং সেখানে তিনি সামরিক হেলিকপ্টার চালাতেন। প্রিন্স হ্যারির একটি আত্মজীবনী প্রকাশিত হতে চলেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ২৫ জনকে হত্যা করেছেন তিনি।
ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, ২০০৭-০৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ফরোয়ার্ড এয়ার কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেছেন। আর ২০১২-১৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সামরিক হেলিকপ্টার চালাতেন। সেই সময় তিনি ২৫ জনকে হত্যা করেছেন। হ্যারি বলেছেন, তিনি এর জন্য গর্বিত বা অনুতপ্ত কিছুই নন। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি ৯/১১-র আক্রমণ ও তাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে তার দেখা করার প্রসঙ্গ তুলেছেন। হ্যারির মতে, ৯/১১-র পেছনে যারা ছিল এবং যারা তাকে সমর্থন করেছেন, তারা মানবতার শত্রু। প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ১০ জানুয়ারি এ বই প্রকাশিত হবে। গার্ডিয়ানের রিপোর্ট বলছে, এ আত্মজীবনীতে প্রিন্স হ্যারি জানিয়েছেন, তার স্ত্রী মেগানকে নিয়ে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে তার একবার ঝগড়া হয়। উইলিয়াম তখন তাকে মেরে মাটিতে ফেলে দেন।
চার্লস-ক্যামিলার বিয়ে চাননি হ্যারি-উইলিয়াম : বইটিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ কিছু দ্বন্দ্বের চিত্র উঠে এসেছে। দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বইয়ে হ্যারি লেখেন তিনি ও তার বড় ভাই উইলিয়াম চাননি তাদের বাবা চার্লসের সঙ্গে ক্যামিলার বিয়ে হোক। তাদের আশঙ্কা ছিল, সৎ মা হিসেবে ক্যামিলা খুব খারাপ হবেন। তাই তারা তাদের বাবাকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন এ বিয়ে না করেন। শুধু বাবার সঙ্গেই নয়, বিয়ের আগে ক্যামিলার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন দুই ভাই। তবে হ্যারি ও উইলিয়াম এটাও ভেবে রেখেছিলেন যে, ক্যামিলা যদি চার্লসকে খুশি রাখতে পারেন, তারা মন থেকে তাকে ক্ষমা করে দেবেন। যখন তারা ক্যামিলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তখন হ্যারির বয়স কত ছিল, তা জানা যায়নি।