পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার ৩০ জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিবছর এমপিও বাবদ নেন ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। কিন্তু আলিম পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার শূন্য। ওই প্রতিষ্ঠানটির ২৫ জন পরীক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেননি। এ পরিস্থিতিতে মাদরাসাটির এমপিও বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে শোকজ করা হয়েছে।
শুধু ওই প্রতিষ্ঠানটিই নয়, আলিম পরীক্ষায় পাসের হার কম থাকা মোট ছয়টি মাদরাসাকে শোকজ করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ছিলো ১০ শতাংশ বা তার কম।
যে ছয়টি মাদরাসাকে শোকজ করা হয়েছে সেগুলো হলো, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তাফালবাড়িয়া হোসেনিয়া আলিম মাদরাসা, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর নওগাঁ আলিম মাদরাসা, যশোরের কেশবপুরের মূলগ্রাম দারুল উলুম মাদরাসা, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের মদিনাতুল উলুম আলিম মাদরাসা, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা এবং বরিশালের হিজলা উপজেলার আলিগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা।
গতকাল মঙ্গলবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী পরিচালক মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত আলাদা শোকজ নোটিশ মাদরাসাগুলোর অধ্যক্ষদের পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তাফালবাড়িয়া হোসেনিয়া আলিম মাদরাসায় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আলিম পরীক্ষায় ১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন এবং পাসের হার শূন্য। এ প্রতিষ্ঠানটির ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী প্রতিমাসে এমপিও বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা পান।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর নওগাঁ আলিম মাদরাসা থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আলিম পরীক্ষায় ১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন ও পাসের হার শূন্য। ওই প্রতিষ্ঠানে ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রতিমাসে এমপিও বাবদ ২ লাখ ৭ হাজার টাকা পান।
যশোরের কেশবপুরের মূলগ্রাম দারুল উলুম মাদরাসায় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ। ওই প্রতিষ্ঠানে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রতিমাসে এমপিও বাবদ ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা পান।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের মদিনাতুল উলুম আলিম মাদরাসা থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আলিম পরীক্ষায় ২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন এবং পাসের শূন্য। ওই প্রতিষ্ঠানে ৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রতিমাসে এমপিও বাবদ ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা পান।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আলিম পরীক্ষায় ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। কিন্তু কেউ পাস করতে পারেননি। পাসের হার শূন্য। ওই মাদরাসার ৩০ জন শিক্ষক কর্মচারী প্রতিমাসে এমপিও বাবদ ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা নেন।
বরিশালের হিজলা উপজেলার আলিগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ১০ শতাংশ। ওই মাদরাসার ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী প্রতিমাসে এমপিও বাবদ ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা নেন।
শোকজ নোটিশে অধিদপ্তর বলছে, ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক কর্মচারীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। তাই কোনো মাদরাসাগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না তার সন্তোষজনক জবাব আগামী ১৫ মের মধ্যে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে অধ্যক্ষদের।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।