শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থী শিক্ষক পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেয়েছেন। প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। তবে, ভিরোল ফরম পূরণের প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে হাতে হাতে ফরম পূরণ করতে হলেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীরা অনলাইনে ভিরোল ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন।
রোববার রাতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ বা প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে।
রাত সোয়া দশটায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রার্থীদের এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। ৩২ হাজার ৪৩৮ প্রার্থী প্রাথমিক সুপারিশ পেয়েছেন।
তবে মহিলা ও কারিগরি কোটার প্রার্থী না পাওয়ায় ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক পদের সবগুলোতে এবার প্রার্থী সুপারিশ করা হয়নি।
রাত এগারোটায় প্রকাশিত এক নোটিশে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীরা এসএমএস পাচ্ছেন। এছাড়া এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে (www.ntrca.gov.bd) ও শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd) ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে প্রার্থীরা ফল দেখতে পারবেন। কারিগরি কারণে কেউ এসএমএস না পেলে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রাথমিক নির্বাচনের ফল দেখা যাবে।
এনটিআরসিএ আরো জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম অনলাইনে পূরণ করে তা অনলাইনেই সাবমিট করতে হবে। ভিরোল ফরম পূরণ ও সাবমিট সংক্রান্ত নির্দেশনা পরবর্তীতে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ও প্রার্থীদের মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
বিভিন্ন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ৩১ হাজার ৫০৮ শিক্ষক এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৬ হাজার ৮৮২ শিক্ষক নিয়োগে গত ডিসেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো এনটিআরসিএ। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে এসব পদে আবেদন নেয়া শুরু হয়। ২৯ জানুয়ারি রাতে আবেদন করে ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ফি জমা দিতে পেরেছিলেন প্রার্থীরা। ৬৮ হাজার ৩৯০টি শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে প্রায় ১ লাখ ১ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন বলে জানা গেছে।