সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সংকট নিরসনে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ৩৪ মাস বেতন পাননি। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই আভিযোগ তোলেন স্টেপ প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্তরা। দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও চাকরি রাজস্বখাতে আত্তীকরণের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন।
দাবি পূরণ না হলে ৩০ এপ্রিল থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে স্টেপ প্রকল্পের অধীনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এই শিক্ষকদের মধ্যে ৫০ জনের বেশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে জানান তারা।
যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখা, বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার সভাপতি মো. সুমন হায়দার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সংকট নিরসনে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ৩৪ মাস বেতন পাচ্ছেন না।
জুলাই-২০২০ হতে ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে অর্থ কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। ৩৪ মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় কয়েকজন শিক্ষক টাকার অভাবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করাতে পেরে মারা গেছেন। অনেকে মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়া ধীরগতির কারণে শিক্ষকরা চরম হতাশ।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষকের পরিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও চাকরি দ্রুত রাজস্বখাতে আত্তীকরণের দাবি করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য সায়লা আক্তার শর্মি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. মেহেদী হাসান।