৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখনো আরও প্রায় আট হাজার প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা বাকি। আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে তাদের পরীক্ষা শেষ হবে। এরপর নভেম্বরে চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করতে চায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
পিএসসি সূত্র জানায়, সম্প্রতি পিএসসির নিয়মিত সভায় ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে উঠে আসে মৌখিক পরীক্ষার সার্বিক চিত্র। বর্তমানে পাঁচ হাজার ২৮ জন সাধারণ ক্যাডার প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এরপর টেকনিক্যাল বা কারিগরি ক্যাডারের প্রার্থীদের পরীক্ষা হবে। উভয় ক্যাডারের চাকরিপ্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা হবে একেবারে শেষে।
মৌখিক পরীক্ষা শেষে ফল প্রকাশে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে মনে করেন পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা হলো- চলতি বছরের মধ্যেই চূড়ান্ত সুপারিশ করবো। সেটা নভেম্বরের মধ্যেই দেওয়া সম্ভব বলে আমাদের বিশ্বাস।’
বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো দিন ঠিক হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই দিন-তারিখ বলা সম্ভব নয়। এটা ফলপ্রত্যাশীসহ সবার মধ্যে চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। আমি এটুকু বলতে পারি- নভেম্বরই আমাদের টার্গেট। হয়তো ওই মাসের মধ্যে হয়ে যাবে।’
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২০ জানুয়ারি প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। চলতি বছরের ২০ আগস্ট ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।
মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩ সেপ্টেম্বর। প্রতিদিন ১৮০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তবে অসুস্থতাজনিত কারণে ২২ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেছে পিএসসি।
৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।