ভাতা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে ও ভাতা নিয়মিত করার দাবিতে এবার রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ফলে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রেইনি চিকিৎসকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলায় অবস্থান শুরু করেন। পরে বিএসএমএমইউর ভেতর থেকে বেরিয়ে শাহবাগে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশ ও চিকিৎসকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ট্রেইনি চিকিৎসকদের অভিযোগ, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, এতে কয়েকজন চিকিৎসক আহত হয়েছেন।
পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক আহ্বায়ক ডা. মো. হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা যখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করতে যাই, তখন আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। লাঠিচার্জে আমাদের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানান, রোগীদের ভোগান্তিতে আমরা ফেলতে চাই না। আমরা চাই আমাদের দাবি মেনে নেয়া হোক। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ২০ হাজার টাকাতে পরিবার চালানো, নিজে চলা অনেক মুশকিল। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম ভাতা দেয়া হয় আমাদের দেশের ট্রেইনি ডাক্তারদের। ভারতে এই ভাতা দেড় লাখ রুপি, পাকিস্তানে প্রায় পঁচাত্তর হাজার রুপি। ভাতা নিয়মিত করার পাশাপাশি নাম মাত্র ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হোক।
আন্দোলনকারীরা আরো বলেন, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রজ্ঞাপন দিলে আমরা এখনই কাজে ফিরে যাব। আমরা হাসপাতালে ফিরে যেতে চাই, রোগীদের চিকিৎসা করতে চাই।
এর আগে গত ৮ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশন। গত ১২ জুনের মধ্যে ভাতা বৃদ্ধির দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাওয়া হবে। এর পর দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে দাবি করে আন্দোলন স্থগিত করেন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ৮ জুলাই থেকে রাজধানীর শহীদ মিনার এলাকায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এর অংশ হিসেবে পর দিন ৯ জুলাই একই স্থানে তারা গণঅনশন করেন। পর দিন দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান তারা। কিন্তু সরকার প্রধানের সাক্ষাৎ পাননি তারা।
শিক্ষার সব খবর সবারআগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।