মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মার ভাঙনে একাংশ ধসে যাওয়া চরমকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের বাকি অংশ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ৫৯ হাজার ১৪১ টাকায় ভবনের বাকি অংশ কিনে নিয়েছেন বিল্লাল নামের স্থানীয় এক ঠিকাদার। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় আট লাখ টাকা খরচে দোতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এটি বন্যাকবলিতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হতো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাঈনুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়।
বিদ্যালয়টি উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়নের আবিধারা গ্রামে। ভবন ভাঙনে ধসে যাওয়ার জন্য পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র বড় বড় খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এ কারণে এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, পার্শ্ববর্তী দোহার উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা ধূলশুড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন। বালু উত্তোলন করায় তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও করা হয়েছে; কিন্তু ওই নেতা প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁকে কেউ থামাতে পারছেন না।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ভাঙনের কারণে এর আগে বিদ্যালয়টি এক দফায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে আজিমনগর ইউনিয়নের চরমকুন্দিয়া গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ভাঙন দেখা দিলে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে ধূলশুড়া ইউনিয়নে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় আট লাখ টাকায় দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়।
গত সোমবার রাত ৯টার দিকে আবিধারা ও ইসলামপুর এলাকায় পদ্মার ভাঙন দেখা দিলে ১২টি বসতবাড়ি ও ১০০ ফুট রাস্তা বিলীন হয়ে যায়। পরদিন রাতে বিদ্যালয় ভবনের এক-চতুর্থাংশ ধসে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে কয়েক শ জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হয়েছে। ভাঙন রোধে কাজ চলছে।