জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ ভবনের জন্য নির্ধারিত স্থানে (সুন্দরবন) গাছ কাটার ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমকে প্রায় ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিজ কার্যালয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ রাখা হয়।
এর আগে গতকাল বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা ভবনটির প্রবেশপথে তালা লাগিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। এ ছাড়া গতকাল রাত ৮টার দিকে আইবিএ ভবনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
‘অনিক ট্রেডার্স’-এর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অন্য আরেকটি কাজ আটকে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন নতুন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কাজ করছিল প্রতিষ্ঠানটি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচার, তদন্ত কমিটি গঠন এবং ভবন নির্মাণের জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই গাছ কাটার ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মনজুরুল হককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে ঘটনার তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য নূরুল আলম বলেন, ‘কারা গাছ কেটেছে, কখন কেটেছে—আমরা কিছুই জানি না। আমরা কাউকে গাছ কাটার অনুমতি দিইনি। আমরা গাছ কাটার দায় নেব না। তদন্ত করা হবে। বিষয়টি সিন্ডিকেটে তোলা হবে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইনস্টিটিউটটির ভবন নির্মাণের দরপত্রে যাঁরা কার্যাদেশ পেয়েছেন, তাঁরাই গাছগুলো কেটেছেন।
এদিকে রাত ৯টার দিকে নির্ধারিত স্থানটিতেই ভবন নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আইবিএর শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার সকালে আইবিএ ভবনের জন্য নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন এলাকায় গাছগুলো কাটা দেখতে পান শিক্ষার্থীরা। এর আগেও ভবন নির্মাণের জন্য জায়গাটি নির্ধারণ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা।