দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: ফিনল্যান্ডের একটি লাইব্রেরি থেকে ধার নেওয়া একটি বই ৮৪ বছর পর ফেরত দেওয়া হয়েছে। দেশটির রাজধানী হেলসিঙ্কির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে শেষে দিকে নেওয়া হয়েছিল স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের দ্য রিফিউজি বইটি। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সেটি ফেরত দেওয়ার কথা ছিল।
গ্রন্থাগারিক হেইনি স্ট্র্যান্ড বইটি ফেরত পাওয়ার পর সিএনএনকে জানিয়েছেন, যিনি বইটি নিয়েছিলেন তার লাইব্রেরি কার্ড বইটির ভেতর পাওয়া গেছে। কার্ড থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কির পুরসিমিহেনকাতু এলাকার একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তবে যিনি বইটি ফেরত দিয়েছেন, তার সঙ্গে বই নেওয়া ওই ব্যক্তির সম্পর্কের কথা তারা জিজ্ঞাসা করেননি।
হেইনি স্ট্র্যান্ড বলেন, সাধারণত অনেক সময় দেরিতে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দেওয়া হয়। প্রায়ই মৃত আত্মীয়দের জিনিসপত্রের মধ্যে খুঁজে পাওয়া বই লাইব্রেরিতে ফেরত পাঠানো হয়। এই বইয়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের কিছু ঘটেছে কি না সে ব্যাপারে তারা সঠিক জানেন না।
সিএনএন বলছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৩৯ সালের ৩০ নভেম্বর ফিনল্যান্ড আক্রমণ করেছিল। তাই বইটি ফেরত দেওয়ার নির্ধারিত তারিখের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর সময় মিলে যাওয়ায় বইটি ফেরত দিতে দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করা যায়। গ্রন্থাগারিক হেইনি স্ট্র্যান্ড বলেছেন, এ ধরনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটলে সবার আগে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দেওয়ার কথা কারও মাথায় আসবে না।
তিনি জানান, বইটি পুরনো হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং এটিকে আবারও নতুন করে ধার নেওয়া সম্ভব। এটি হেলসিঙ্কি শহরের পাসিলায় অবস্থিত লাইব্রেরির প্রধান সংগ্রহশালায় পাঠানো হয়েছে। সেখানকার কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেবেন, বইটি আবারও সংগ্রহে যোগ করা হবে কি না। যদি যোগ করা হয়, তাহলে বইটি অনলাইনে সংরক্ষণ করা যাবে এবং এটি ধার নেওয়া যাবে।
সেন্ট্রাল লাইব্রেরির অন্য আরেকজন গ্রন্থাগারিক সিনা তিউরানিমি বলেছেন, লাইব্রেরির লক্ষ্য হলো পাঠের প্রচার করা এবং জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া। ফিনল্যান্ডের লোকরা প্রায়ই লাইব্রেরি ব্যবহার করে এবং লাইব্রেরি কীভাবে কাজ করে সেটি তারা বোঝে। দেরিতে বইটি ফেরত দেওয়া বড় কোনো সমস্যা নয়, কারণ লাইব্রেরির বই প্রত্যেকের জন্য।
তিনি জানান, হেলসিঙ্কির সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বই ফেরত না দিলে ছয় ইউরো জরিমানা করা হয়। কিন্তু লাইব্রেরির সিস্টেমে উল্লিখিত বইটির কোনো তথ্য আর না থাকায় কোনো জরিমানা করা হয়নি।