দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ স্কুল-কলেজ ভবনের সামনে সর্তর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
আজ রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত নগর উন্নয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সামনে ‘এই ভবনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ভবনের ব্যবহার বন্ধের জন্য অনুরোধ করা হলো-অনুরোধক্রমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)’-লিখে সাইনবোর্ড আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে স্থাপন করে রাজউক কার্যালয়কে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের জন্য দুর্বলতা মূল্যায়ন এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা’ পরামর্শ সেবার জন্য তুরস্কের এক আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর এলাকার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে।
এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে রাজউক থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৪২টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করা বা ভেঙে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানকে নির্দেশনা দিয়ে ৩ এপ্রিল মাউশি অধিদপ্তর থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে ৩০টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।
এদিকে, এই ৩০ ভবনের মধ্যে রয়েছে অনেক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। তালিকায় দেখা যায়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা কলিজিয়েট স্কুল, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বাংলা কলেজ, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি কালিগঞ্জ শ্রমিক কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর আগে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে রাজধানী ও আশপাশের আটটি প্রতিষ্ঠানের নির্মিত ‘৪৪টি’ ভবন পুনর্নির্মাণ বা ভেঙে ফেলার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে রাজউক। পাশাপাশি আট প্রতিষ্ঠানের অধীনে নির্মিত ১৮৭টি ভবনকে ‘মজবুতিকরণের’ (রেট্রোফিটিং) নির্দেশ দিয়েছে রাজউক।
গত বছরের ২৯ জানুয়ারি রাজউক ১৮৭টি ভবনকে মজবুতিকরণ ও ৪২টি ভবনকে ‘সিলগালা’ করতে আটটি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছিলো। তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। প্রায় সবকটি ভবন এখনো ব্যবহার হচ্ছে।
রাজউকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসএমএমইউ’র (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) তিনটি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজির তিনটি ভবন মজবুতিকরণ করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের চারটি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।