দেশে একশ টাকা বাজেট করলে নব্বই টাকা চুরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, বাজেট করে একশ টাকার, গ্রামে পৌঁছায় দশ টাকা। নব্বই টাকা চুরি। এ কথা আমার না, এ কথা সরকারের এক মন্ত্রীর।
সোমবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, নির্বাচন কমিশন বাতিল ও জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরো বলেন, মান্দার গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না। দুই নম্বর জমিতে এক নম্বর ফসল হয় না। দুই নম্বর নেতায় দেশ কখনো এক নম্বর হবে না, হতে পারে না।
সমাবেশে তিনি আরো বলেন, সরকার বিএনপির আন্দোলনকে নস্যাৎ করে ভাবছে বিজয় হয়ে গেছে। নিরস্ত্র মানুষের সঙ্গে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় হলে সেটাকে কাপুরুষ বলা হয়। যদি আপনারা যুদ্ধ করতে চান, সরকারের কাছে যত অস্ত্র আছে তার অর্ধেক পরিমাণ অস্ত্র পাবলিকের কাছে দিয়ে তারপর যুদ্ধে নামেন। তারপর দেখা যাবে কার কাছে কতো শক্তি আছে।
তিনি বলেন, আপনি অস্ত্র দিয়ে নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করবেন। আর ভাবছেন বিজয় গ্রহণ করছেন। না, সমস্যা আরও বৃদ্ধি করেছেন। এই দিন দিন নয়। এক মাঘে শীত যায় না। সামনে আরও বড় শীত আসছে। সেই দিন কম্বলও পাবেন না, লেপও পাবেন না। সেই সময় আসছে।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন বাংলাদেশে করতে হবে, দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝি না, কেয়ারটেকার সরকার বুঝি না। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই জাতীয় সরকারের অধীনে। আপনি চৌদ্দর নির্বাচন, আঠারোর নির্বাচনের মতো চব্বিশ সালের নির্বাচন করবেন, তা হবে না। বাংলাদেশের জনগণ প্রহসনের নির্বাচন, চুরি ও ডাকাতির নির্বাচন গ্রহণ করবে না।
তিনি সমাবেশে উপস্থিত সবাইকে আগামী ৩ নভেম্বর ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে যোগদানের আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলনের উলিপুর থানা শাখার সভাপতি এস এম রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ডা. আক্কাছ আলী সরকার, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী, সহসভাপতি আব্দুল বাতেন সরকার, উপদেষ্টা ডা. আবুল কালাম আজাদসহ অনেকে।