বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব ও দুর্ভিক্ষ হবে না বলে গ্যারান্টি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, আমাদের আমলে কোনো সময় ১৬ বা ১৮ লাখ টনের নিচে গম-চাল মজুত থাকে না। আমাদের রাখার ক্যাপাসিটি আছে ২১ লাখ ৬০ হাজার টন। গতকালই আমাদের স্টক হয়েছে ২০ লাখ টন গম-চাল।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে চলমান বোরো সংগ্রহ উপলক্ষে বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র বলেন, গম ও চাল আরও স্টক বেশি রাখার জন্য সাড়ে ৫ লাখ টনের সাইলো বানাচ্ছি। আশা করছি সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরের মধ্যে সাইলোগুলো উদ্বোধন করতে পারবো। এছাড়া কৃষকের সুবিধার জন্য হাওরে পাঁচ হাজার টন করে ধানের সাইলো করার পদক্ষেপ নিয়েছি। এরই মধ্যে প্রজেক্ট পাস হয়েছে। কনসালটেন্ট নিয়োগ হয়েছে, ডিজাইন হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভেজা ধান কৃষক সাইলোতে নিয়ে যাবে। এক একটা সাইলোতে ডাইয়ার থাকবে চারটা করে। এক এক ডাইয়ারে ঘণ্টায় ৩০ টন করে ধান ঝাড়া, বাছাই ও শুকিয়ে বিনে ঢুকে যাবে। সেখান থেকে স্লিপ নিয়ে ব্যাংকে চলে যাবে কৃষক। এরপর টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। ২০০টি সাইলো করার চিন্তা আছে। প্রধানমন্ত্রী পাইলট স্কিম হিসেবে ৩০টি করার অনুমোদন দিয়েছেন।
সরকার আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা। এ ছাড়া গম ৩৫ টাকা করে কেনা হবে। চার লাখ টন ধান, সাড়ে ১২ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি. এম. ফারুক হোসেন পাটিয়ারী, কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার।