দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক : তিন বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জালিয়াতির চেষ্টা ও সহযোগিতার অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার ও আটক হয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিদর্শকরা লোভে পড়ায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতির চেষ্টা হয়েছে। তিনি বিভাগের পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে তারা বলছেন, যারা জালিয়াতির চেষ্টা করেছেন তারা পাঁকড়াও হয়েছেন।
শুক্রবার রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাত পৌনে আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতির চেষ্টা ও সহযোগিতার অভিযোগে শুধু রংপুর বিভাগে ১০৬ জন ও বরিশাল বিভাগে ২৩ জন আটক-গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, তিন বিভাগের পরীক্ষা তাদারকির দায়িত্বে ছিলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি এবং অপারেশন বিভাগ। সন্ধ্যায় সাতটার দিকে দৈনিক শিক্ষাডটকমের সঙ্গে কথা হয় এ বিভাগের পরিচালক মনীষ চাকমার। তিনি জানান, পরীক্ষা খুব সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো একটি স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো।
শতাধিক প্রার্থীকে গ্রেফতারের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জালিয়াতরা ধরা পড়েছে। কেউ ছাড় পাননি। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা খুব তৎপর ছিলেন। গত রাত থেকেই জালিয়াতরা গ্রেফতার হওয়া শুরু করেছেন। কেউ জালিয়াতি করে পাড় পাননি।
ঘণ্টা পড়ার পর প্রশ্নের প্যাকেট খোলা, লটারি মাধ্যমে পরিদর্শক নির্বাচনসহ নানা সতর্কতার পরও কেনো এমনটি হলো জানতে চাইলে পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আসলে জেলা-জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যারা পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন তারা লোভে পড়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ হয়তো প্রশ্ন বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন বা পাঠাবেন বলে জালিয়াতদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাই এমনটা হয়েছে। তবে জালিয়াতি করে কেউ পরীক্ষা দিতে পারেননি। যারা জড়িত ছিলেন তারা পাকড়াও হয়েছেন।
জানা গেছে, এ পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকে দায়িত্বে ছিলেন জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকরা। সরকারি কলেজ, পিটিআই, সরকারি মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি কারিগরি কলেজ বা মাদরাসা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।