পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ওপর আমাদের অস্তিত্ব নির্ভর করছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের আরো অধিক সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বাউবির শিক্ষক সমিতির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে মঙ্গলবার বাউবির গাজীপুরস্থ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব-পরিবেশ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। যে হারে কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে মানবকুলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কার্বনের পরিমাণ কমাতে বনায়নের পরিমাণ বাড়াতে হবে। উন্নত জীবন-যাপনের জন্য প্রকৃতির ভারসাম্য হারাচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হচ্ছে, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মারাত্বক হুমকি বয়ে নিয়ে আসছে।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ওয়াইল্ড টিমের চেয়ারম্যান এবং আরণ্যক ফাউন্ডেশনেরর পরিচালক, পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, মানুষের টিকে থাকার যোগ্য পরিবেশের প্রধান হুমকি বায়ুমন্ডলে ক্রমবর্ধমান কার্বন-ডাই-অক্সাইড। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জমিতে বন রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ, বিপর্যয় ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বন ও প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। বনভূমি বৃদ্ধি ও সুন্দরবন রক্ষা ও সম্প্রসারণের ওপর গুরুতারোপ করেন তিনি।
আলোচনা সভার আলোচক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দৃর্যোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষে অধিক হারে বৃক্ষ রোপণের ওপর জোর দেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাউবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল। শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শহীদুর রহমান। আলোচনা সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলম। সভায় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।