সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার রাজধানীজুড়ে থাকে বাড়তি চাপ। তবে গাড়ির হর্ন আর তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসীর সামনে আজ এক ভিন্ন আবহ। নেই যানবাহনের অতিচাপ, নেই যানজট। ছুটির দিন ছাড়াই যেন এক ছুটির আমেজ চলছে নগরজুড়ে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, দয়াগঞ্জ, গুলিস্তান, মতিঝিল ও পল্টন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকায় গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। তবে সড়কে রিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে গণপরিবহনে উঠতে পারলেও কেউ কেউ মোটরসাইকেল ও রিকশাযোগে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।
অনেকে মনে করছেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানবাহন অনেক কমেছে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যাও কম। ফলে অনেকটা থমথমে নগরী। গতকাল বিএনপির কার্যালয়ের ঘটনার পর অনেকে আতঙ্কে বাড়তি সতর্কতা নিয়ে চলাচল করছেন।
দোয়েল বাসের চালক মিজান মিয়া বলেন, ‘অন্যদিন গুলিস্তানের যানজটেইই আধাঘন্টা লাগে, আজ ফ্লাইওভার থেকে একটানে জিপিও আসলাম। মনে হচ্ছে ছুটির দিন।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শফিকুজ্জামান বলেন, ‘আজ ঢাকায় এত গাড়ি কম কেন বুঝলাম না। বিএনপির সমাবেশ তো শনিবার। আমি যাবো মোহাম্মদপুর, কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। এখন বাইকে যাবো ভাবছি। কিন্তু কেমন যেন ছুটির দিন মনে হচ্ছে।’
জামশেদ আলম নামের আরেক পথচারী বলেন, ‘মতিঝিল-গুলিস্তানে অন্যদিন রাস্তার যে অবস্থা থাকে তাতে অনেক রাস্তায় হাঁটা যায় না। কিন্তু আজ অনেকটাই ফাঁকা। গাড়ির জটলা নেই, যানজট নেই। অনেকটা ছুটির দিনের মতো লাগছে। সচরাচর তো ছুটির দিনগুলোতেই এমন ফাঁকা থাকে। তবে বিএনপির সমাবেশের জন্যই মনে হয় গাড়ি রাস্তায় কম বেড়িয়েছে।’
ধোলাইপাড় এলাকায় নিয়মিত রিকশা চালান মো. মিলন। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দিন রাস্তায় অনেক গাড়ি থাকে। আজ তো তেমন গাড়িও দেখি না। আবার যাত্রীও কিছুটা কম দেখতাছি। মানুষ মনে হয় ছুটি কাটাইতাছে।’