খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, র্যাগিং এখন ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। তাই এটিকে চেপে রাখা যাবে না। র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে শাস্তি নিশ্চিতের জন্য অভিযোগ জানাতে হবে। এক্ষেত্রে ডিসিপ্লিনের প্রধানসহ শিক্ষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। র্যাগিংয়ের শাস্তি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের শিকার হলে তাকে সহযোগিতা করতে হবে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরো বলেন, এ বছর ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে। এছাড়া টাইমস্ হায়ার এডুকেশন র্যাংকিংয়েও স্থান করে নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এ দুটি খবর আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে। কেনো না কোনো কিছু অর্জন করলে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করাই চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি চালু হয়েছে। ডি-নথির মাধ্যমে কাজে গতিশীলতা বাড়ে এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়। ইতোমধ্যে প্রশাসনের অধিকাংশ অফিসসহ নয়টি ডিসিপ্লিনকে ডি-নথির আওতায় আনা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সব ডিসিপ্লিন ও অফিসগুলোকে ডি-নথির আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে ডিসিপ্লিনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া উপাচার্য চতুর্থ শ্রেণির সব কর্মচারীকে ড্রেসকোড মেনে চলার জন্য নির্দেশনা দেন এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিষয়টি তদারকির আহ্বান জানান খুবি উপাচার্য।
সভায় উপাচার্য সেশনাল ট্যুরের ক্ষেত্রে স্থান নির্বাচন, ট্যুর প্ল্যান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্যাম্পাসে মশক নিধনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও ভৌত অবকাঠামোর বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় পরিচালক এবং শাখা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।