‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’র কবি কাদের নেওয়াজের মৃ*ত্যুবার্ষিকী আজ - দৈনিকশিক্ষা

‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’র কবি কাদের নেওয়াজের মৃ*ত্যুবার্ষিকী আজ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি কাজী কাদের নেওয়াজের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। কাদের নেওয়াজ অল্প বয়সেই সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হন। সাহিত্যের সব শাখাতেই কাজ করেছেন তিনি। তবে কবিতাই ছিল তার প্রধান চর্চার ক্ষেত্র। তিনি রবীন্দ্রভাব বলয়ের কবি হলেও বিষয়ে, বিন্যাসে, আঙ্গিকে ও প্রকাশনৈপুণ্যে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। কবিতায় তিনি সত্য, সুন্দর আর সুনীতিকে আহ্বান করেছেন। ছান্দসিক কবি হিসেবে তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন। প্রেম, প্রকৃতি ও স্বদেশ তার কবিতার বিষয়বস্তু। সহজ-সরল ভাবমাধুর্যে রচিত তার কাহিনিধর্মী ও নীতিকথামূলক শিশুতোষ রচনার সংখ্যা অনেক।

কবি কাজী কাদের নেওয়াজ ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী আল্লাহ নেওয়াজ, মাতা ফাতেমাতুন্নেছা। তাদের পৈতৃক নিবাস ছিলো বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোর্ট গ্রামে। পিতা-মাতার এগারো সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তার পিতা আল্লাহ নেওয়াজ বাংলা, ইংরেজি, আরবি, ফারসি, উর্দু ভাষার সুপণ্ডিত ও লেখক ছিলেন। মা ফাতেমাতুনেচ্ছাও ছিলেন একজন সুশিক্ষিতা বিদূষী নারী।
কাজী কাদের নেওয়াজ ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে বর্ধমান জেলার মাথরুন উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পাস করেন। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে বহরমপুর কলেজ থেকে আইএসসি এবং ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) পাস করেন। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বিটি পাস করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও পরীক্ষা দেননি বলে বিভিন্ন সূত্রে উল্লেখ আছে।

শিক্ষানুরাগী ও শিক্ষাবিদ কবি কাজী কাদের নেওয়াজ ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে স্কুল সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। চাকরি জীবনের শুরুতে কিছুদিন কলকাতা আলিয়া মাদরাসায় ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং প্রথমে নবকুমার ইনস্টিটিউশনে ও পরে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৫১ থেকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি দিনাজপুর জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর ঢাকার বিখ্যাত সংবাদপত্র ও রেডিওতে বড় পদে চাকরির ডাক পান।

কাজী কাদের নেওয়াজের গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলি হলো: মরাল, দাদুর বৈঠক, নীল কুমুদী, মণিদীপ, কালের হাওয়া, মরুচন্দ্রিকা, দুটি পাখি দুটি তারা, উতলা সন্ধ্যা ইত্যাদি। তিনি প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, শিশুসাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার  এবং মাদার বক্স পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম - dainik shiksha ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় - dainik shiksha এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো - dainik shiksha প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068838596343994