শিক্ষার সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্রের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মনে করেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। সেজন্য শিক্ষাখাতের যাবতীয় বৈষম্য-অনিয়ম দূর করতে একটি কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন সলিমুল্লাহ খান।
তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন সংস্কার জরুরি। বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ কোনো মত বা পথের নয়, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
জুলাই গণপরিসরের এই আলোচনায় ১৯৭২ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ৫০ বছরে কীভাবে শিক্ষাখাত ধ্বংস হলো তা তুলে ধরেন রাখাল রাহা। মূলপ্রবন্ধে শিক্ষার শুরু থেকে বিভাজন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির পটভূমি থেকে শুরু করে অটোপাশ কিংবা পিইসি-জেএসসি চালুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ তোলেন তিনি। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি কিংবা স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বন্ধ করে লটারি চালুর সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হয়েছিল, সে প্রশ্নও আসে এই আলোচনায়।
এ সময় বক্তারা স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের শিক্ষাব্যবস্থার দৈন্যদশা তুলে ধরে গেল ১৫ বছরে কীভাবে তা ধ্বংসের চূড়ান্ত পথে হেঁটেছে তা ব্যাখ্যা করেন। বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গঠিত সরকারের শিক্ষা নিয়ে টেকসই কাজ করা জরুরি।