দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : সহকর্মীদের প্রতি জবির প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের সম্মানবোধ অনুকরণীয় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক একজন আত্নমর্যাদা সম্পন্ন এবং একাধারে দক্ষ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। সহকর্মীদের প্রতি তাঁর সম্মানবোধ অনুকরণীয় ছিল। অনেক বিষয়েই দ্বিমতের মধ্যদিয়ে শুরু হলেও উপাচার্যের দক্ষতায় সমঝোতায় তা শেষ হতো।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, উপাচার্য মহোদয় একজন ভালো মানুষ ছিলেন। ভালো কাজের জন্য তিনি সম্মানিত হয়েছেন। ওনার সঙ্গে আমি অনেক কাজ করেছি। আগামী ২৬ নভেম্বর আমার মেয়াদ শেষ হবে। সম্মান নিয়ে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে চাই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং হামদ ও নাত পরিবেশনা করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান শোক প্রস্তাব পাঠ করেন।
শোক সভার প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের একমাত্র সন্তান তাসলিম হক মোনা বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় উপাচার্যের সহধর্মিনী নুরুন নাহার বেগমও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের স্মরণে তার নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ, উপাচার্যের নামে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের নাম রাখা ও নতুন ক্যাম্পাসে একটি ভবনের নাম রাখার প্রস্তাব করা হয়।
এদিন বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তরসমূহের পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ছাত্রনেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক গত ১১ অক্টোবর চিকিৎসাকালীন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিগত তিনদিন শোক পালন করছে। এছাড়াও সদ্য প্রয়াত উপাচার্যের স্মারণে শোক বই আগামীকাল পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।